ইবিতে দাওয়াহ এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের প্রথম এলামনাই ও পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে উজ্জল বাংলাদেশ গঠনের যোগ্য অংশীদার হবে বিশ্ববিদ্যালয়ের এলামনাইরা --------------ইবি ভাইস চ্যান্সেলর
VIEWইবিতে ১৭ মার্চ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৩ তম জন্মবার্ষিকী উৎসবমুখর পরিবেশে উদযাপিত
VIEWইবিতে বাংলা বিভাগে যুক্ত হই মুক্ত আনন্দে শ্লোগানে প্রথম এলামনাই এসোসিয়েশনের অনুষ্ঠানে একটি মাতৃভাষা সমাজকে বিনির্মান করতে পারে যা অস্ত্র দিয়ে সম্ভব নয় --------------ইবি প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর
VIEWইবিতে ইংরেজি বিভাগের প্রথম এলামনাই এসোসিয়েশনের অনুষ্ঠানে এলামনাইরা শুধু একটি বিভাগের সম্পদ নয়, তারা পুরো বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্পদ, সমগ্র জাতির সম্পদ ---------------------ইবি প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর
VIEWইবিতে লোকপ্রশাসন দিবসের অনুষ্ঠানে প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর স্মার্ট বাংলাদেশ গড়বার জন্য লোকপ্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থীরা যথাযথ ভুমিকা রাখবে ------------প্রফেসর ড. মোঃ মাহবুবুর রহমান
VIEWঅর্থনীতি বিভাগ চৌকস মানুষ তৈরীর একটি বিভাগ
---------------------- প্রফেসর ড. শেখ আবদুস সালাম
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. শেখ আবদুস সালাম বলেছেন, অর্থনীতি বিভাগের দীর্ঘ ৩৫ বছরের পথ চলায় এই প্রথম দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে আজ আপনারা এক সাথে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাকে সমবেত হয়েছেন। যা দেখে আমরা আনন্দিত। তিনি বলেন, অর্থনীতি বিভাগ চৌকস মানুষ তৈরীর একটি বিভাগ। আমাদের জীবনের এমন কোন ডিসিপ্লিন নেই, যেখানে অর্থনীতির অনুপ্রেবেশ নেই। একটি পূর্ণাঙ্গ মানুষ এবং পূর্ণাঙ্গ নাগরিক হতে হলে যে ডিসিপ্লিনগুলোর প্রয়োজন তা সবই আছে অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থীদের মাঝে। তিনি বলেন, বিভিন্ন সেক্টরের মানুষ এদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন, তবে অর্থনীতিবীদ এবং অর্থনীতির বিভিন্ন পেশায় যারা জড়িত আছেন, তাদের একটি অতিরিক্ত দায়িত্ব আছে বলে মনেকরি। ভিসি বলেন, যারা বিশ্ববিদ্যালয় হতে শিক্ষা জীবন শেষ করে চলে গেছে, তারা যদি বিভাগ বা বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নে অবদান রাখতে চাই সে ক্ষেত্রে এলামনাই এসোসিয়েশন বড় ধরনের কাজ করবে। তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের কারুকলামে অনেকটা পরিবর্তন ঘটেছে। এখানে এলামনাইদের একটি বড় ভূমিকা আছে। শুধু আর্থিক সহযোগিতা নয়, আগামীতে কারুকলামে যে পলিসিগুলো থাকছে সেখানেও এলামনাইদের ভূমিকা রাখতে হবে। ভিসি বলেন, আমাদের সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারক সিন্ডিকেট বলে একটা ফোরাম আছে। সেখানে অ্যাক্টে শুরু থেকেই এলামনাই এসোসিয়েশনের প্রতিনিধিত্ব ছিল। কিন্তু আমি এসে দেখলাম এখানে তাদের কোন প্রতিনিধিত্ব নেই। তাই আমি উদ্যোগ নিয়ে এলামনাই প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করেছি। ভাইস চ্যান্সেলর বলেন, আমরা চাই প্রতিটি বিভাগ এলামনাই এসোসিয়েশন গঠন করবে এবং সেই এসোসিয়েশনের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশ ও জাতী উপকৃত হবে।
আজ ৪ ফেব্রুয়ারি সকালে বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তনে অর্থনীতি বিভাগের ১ম পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানের উদ্বোধনী সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. শেখ আবদুস সালাম এসব কথা বলেন।
অর্থনীতি বিভাগের ১ম পুনর্মিলনী উদ্যাপন কমিটির আহবায়ক ও অর্থনীতি বিভাগের সভাপতি প্রফেসর ড. কাজী মোস্তফা আরীফের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোঃ মাহবুবুর রহমান বলেন, ছাত্রজীবনের অনুভূতি একটি অন্যরকম অনুভূতি। তিনি বলেন, আজকের এ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে নতুন বন্ধন এবং পারিবারিক বন্ধন তৈরী হলো। যা উন্নতিশীল দেশ এবং স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে।
অপর বিশেষ অতিথি ট্রেজারার প্রফেসর ড. মোঃ আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া বলেন, আমি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের ছাত্র ছিলাম। পরবর্তীতে এ বিভাগের শিক্ষক এবং এ বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি। তিনি বলেন, মানুষের শ্রেষ্ঠ জীবন হচ্ছে ছাত্র জীবন, আর সেটি হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের জীবন। তিনি বলেন, শিক্ষক হিসেবে আমরা চাই আমাদের সন্তানতুল্য শিক্ষার্থীরা কর্মজীবনে আরও এগিয়ে যাবে। আমরা যা পারেনি তারা তা করে দেখাবে। অর্থনীতি বিভাগ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নে প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা অবদান রাখবে এ প্রত্যাশা করেন তিনি।
সভায় আরেক বিশেষ অতিথি সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. এ.কে.এম মতিনুর রহমান বলেন, অর্থনীতি বিভাগ এ বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি প্রবীণ বিভাগ। এ বিভাগের শিক্ষার্থীরা সমাজ, রাষ্ট্র এবং বিশে^র বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদান রেখে চলেছে। তারা আরও এগিয়ে যাবে এ প্রত্যাশা রাখি।
সভা পরিচালনা করেন অর্থনীতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মিথিলা তানজিল। উদ্বোধনী সভা শেষে স্মৃতিচারণমূলক অনুষ্ঠানে বিভাগের প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা তাদের স্মৃতিচারণ করেন।
জাতীয় সংগীতের মধ্যদিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা করা হয়। এরপর অর্থনীতি বিভাগের প্রয়াত অধ্যাপক ড. রহমত আলী সিদ্দিকী ও অধ্যাপক ড. আবুল কালাম আজাদসহ প্রয়াত ছাত্র-ছাত্রীদের স্মরণে ১ মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। আলোচনা সভা শেষে ফটোসেশন, সাংগঠনিক সভা এবং র্যাফেল ড্র ও মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে ১ম পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান শেষ হয়।
অনুষ্ঠান পূর্বে মীর মশারফ হোসেন ভবন চত্বর থেকে এক আনন্দ শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রাটি ক্যাম্পাসের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তনে সমবেত হয়। এ আগে ৩ ফেব্রæয়ারি বিকেলে মীর মশারফ হোসেন ভবন চত্বরে পিঠা উৎসব ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এ অনুষ্ঠানকে ঘিরে প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের পদচারণায় ক্যাম্পাস হয়ে উঠে মুখরিত।
স্বা/-
(মোঃ রাশিদুজ্জামান খান টুটুল)
উপ- রেজিস্ট্রার
তথ্য, প্রকাশনা ও জনসংযোগ অফিস
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়।
তারিখ- ৪/২/২০২৩