ইবিতে বিভিন্ন কর্মসূচীর মধ্যে দিয়ে ২৫ মার্চ গণহত্যা ও ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপিত
VIEWইবিতে “১৭ মার্চ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উদযাপিত
VIEWইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে জাকজমকপূর্ণভাবে শেখ রাসেল দিবস ২০২৩ উদ্যাপনের লক্ষ্যে কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ
VIEWদোলনা থেকে কবর পর্যন্ত এক সমুদ্র বাধা পেরিয়ে আমাদেরকে জীবনযুদ্ধে বেঁচে থাকতে হবে
----- প্রফেসর ড. মোঃ হারুন-উর-রশিদ আসকারী
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের টি.এস.সি.সি’র বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তনে বুধবার অরাজনৈতিক, ¯ে^চ্ছাসেবী ও জনকল্যানমুলক সংগঠন তারুন্য ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার উদ্যোগে দিনব্যাপী আত্মহত্যার প্রবনতা ও প্রতিকার, প্রতিরোধ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। দিনব্যাপী সেমিনারে তারুন্যের ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি আরমান রেজা জয় এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোঃ হারুন-উর-রশিদ আসকারী বলেন, দোলনা থেকে কবর পর্যন্ত এক সমুদ্র বাধা পেরিয়ে আমাদেরকে জীবনযুদ্ধে বেঁচে থাকতে হয়, সামনে এগিয়ে যেতে হয় এজন্য কাপুরুষিত আত্মহত্যার থেকে বিরোচিত মৃত্যুই একান্ত কাম্য। তিনি বলেন, পৃথিবীতে সম্ভাবনার একটি জানালা বন্ধ হলেই হতাশ হওয়া যাবে না, অপেক্ষা করতে হবে আগামীর জন্য, দেখবে সম্ভবনার হাজারো দরজা খুলে গেছে তোমার জন্য। ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোঃ হারুন-উর-রশিদ আসকারী বলেন, বর্তমান বিশ্ব প্রেক্ষাপটে বেঁচে থাকাটাই প্রচন্ড আনন্দের বিষয়। কি পেলে আমি আত্মহত্যা করবো না এটা নিরুপন করা সম্ভব কঠিন। তিনি আরো বলেন, এই বিশ্বে আমাদের অগোচরে অনেক কিছুই ঘটছে যা থেকে আমরা নতুন করে বাঁচবার প্রেরণা পেতে পারি। তিনি উপস্থিত শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, যেভাবে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে জঙ্গীবাদ, সন্ত্রাস ও মাদকমুক্ত ঘোষনা করা হয়েছে অচিরেই সেভাবে বেঁচে থাকবার দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়কে আত্মহত্যামুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় ঘোষনা করা হবে। তিনি আরো বলেন, বেঁচে থাকবার একশোটি কৌশল রপ্ত করবার জন্য আমরা কাজ করবো আত্মহত্যার জন্য কোন কৌশল নই। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে প্রো ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোঃ শাহিনুর রহমান বলেন, আত্মহত্যা মহাপাপ। যে এই কাজটি করলো সে তার পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রকে বঞ্চিত করলো। ধৈয্য, সহনশীলতা ও কর্ম দিয়ে জীবনের সকল দুংখ, বেদনাকে মোকাবেলা করতে হবে। তিনি বলেন, মানুষ তাঁর জীবন থেকে তখনই পালাতে চায় যখন যাপিত জীবনের দুংখ, কষ্ট, বেদনাগুলো অনেক বেড়ে যায়। আজ এখান থেকেই আমাদের প্রতিশ্রæতিবদ্ধ হতে হবে আমরা আর কেউ জীবন থেকে পালাবার চেষ্ঠা করবো না। আমরা জীবনের সাথে, সময়ের সাথে, পরিবেশ পরিস্থিতির সাথে যুদ্ধ করে জীবনকে এগিয়ে নিয়ে যাবো। তিনি আরো বলেন, তোমরা বাবা-মায়ের সম্পদ, পরিবারের সম্পদ, রাষ্ট্রের সম্পদ তাদেরকে বঞ্চিত করা যাবে না। যতদিন পৃথিবীতে বেঁচে থাকবে ভালো ভালো কাজ করবে, সৃষ্টিশীল কাজ করবে। আত্মহত্যা করা সামাজিক দৃষ্টিকোন থেকে ঘৃণিত কাজ, ধর্মে মহাপাপ ও আইনের ভাষায় দন্ডনীয় অপরাধ। সুতরাং এই ধরনের চিন্তা চেতনা থেকে আমাদের দুরে থাকতে হবে। অপর বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ট্রেজারার প্রফেসর ড. মোঃ সেলিম তোহা বলেন, জীবন পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ সম্পদ চরম ও পরম পাওয়া। জীবনকে যে যেভাবেই হোক ভালোবাসতে হবে। আমাদের ধর্ম, সমাজ ও আইনে আত্মহত্যার ব্যাপারে কঠোর শাস্তির কথা রয়েছে। ধর্ম, সমাজ ও আইন এটাকে কোনভাবে সমর্থন করে না। জীবনের চলার পথে দুংখ, হাসি-কান্না থাকবে, ঘাত-প্রতিঘাত থাকবে কিন্তু কখনই নিরাশ ও হতাশাগ্রস্থ হওয়া যাবে না। ভালো ভালো ¯^প্ন দেখতে হবে যা আমাদের নতুন করে বাঁচবার আশা জাগাবে। তিনি তরুন প্রজন্মকে নিরাশাবাদী না হয়ে আশাবাদী হবার উপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি আ্েরা বলেন, জীবনতো একটাই, একে শেষ করে দিলে সবকিছুই শেষ। তারুন্য ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার উদ্যোগে দিনব্যাপী আত্মহত্যার প্রবনতা ও প্রতিকার, প্রতিরোধ শীর্ষক সেমিনারে রিসোর্স পারসনের বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক ও মনোরোগ বিশেষজ্ঞ রাজশাহী মেডিকেল কলেজের মনোরােগ বিভাগের প্রধান প্রফেসর ড. মামুন হুসাইন। সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন প্রফেসর ড. আনোয়ারুল হক, প্রফেসর. ড. তালুকদার লোকমান হাকিম, ড. মোঃ সাইফুজ্জামান, প্রক্টর(ভারঃ) ড. মোঃ আনিচুর রহমান, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তা, কর্মচারী ও ছাত্র-ছাত্রীবৃন্দ। উল্লেখ্য য়ে, অনুষ্ঠানের শুরুতে তারুন্যের লাইব্রেরী উদ্ভোদন করা হয়। উদ্ভোদন করেন ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোঃ হারুন-উর-রশিদ আসকারী, প্রো ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোঃ শাহিনুর রহমান, ট্রেজারার প্রফেসর ড. মোঃ সেলিম তোহা ও সেমিনার রিসোর্স পারর্সন বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক ও মনোরোগ বিষেশজ্ঞ রাজশাহী মেডিকেল কলেজের মনোরােগ বিভাগের প্রধান প্রফেসর ড. মামুন হুসাইন। সেমিনার অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করেন তারুন্য ইবি শাখার সদস্য-সচিব সাদিয়া আফরিন খান।