জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের প্রতি ইবি প্রশাসনের শ্রদ্ধাঞ্জলি
জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্থাপিত ভিত্তিপ্রস্তরে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ। শুক্রবার (৭ নভেম্বর) জুম্মার নামাজের পর শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদনকালে তাঁর সঙ্গে ছিলেন ট্রেজারার প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর ড. মোঃ মনজুরুল হক এবং প্রক্টর প্রফেসর ড. মোঃ শাহীনুজ্জামান।
শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদনের পর ভাইস চ্যান্সেলর বলেন, বিভীষিকাময় অবস্থা থেকে, ভারতীয় আগ্রাসনবাদ ও তদানীন্তন আওয়ামী অপশাসন থেকে দেশকে মুক্ত করার জন্য জনতা এবং সিপাহীরা মিলিত হয়ে শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে মুক্ত করে এনেছিলেন কারাগার থেকে। জনগণের আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন হিসেবেই সেদিন তিনি রাষ্ট্রনায়ক হয়েছিলেন। জনগণই সেদিন তাঁকে রাষ্ট্রনায়কের মর্যাদা দিয়েছিল। তিনি বলেন, আদর্শিক ও রাজনৈতিকভাবে বিভক্ত জনগোষ্ঠী দিয়ে কখনোই একটি রাষ্ট্রের কল্যাণ সম্ভব নয়। কিন্তু সেই বিভক্তি রচনা করা হয়েছিল সংবিধানের চতুর্থ সংশোধনীর মধ্য দিয়ে। এজন্য শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ঐক্য ও সংহতির ভিত্তি হিসেবে বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ এবং সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমানের ধর্মীয় আদর্শ হিসেবে ইসলামী মূল্যবোধ প্রতিস্থাপন করেন। তিনি সংবিধানের পঞ্চম সংশোধনীতে ‘বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম’ সংযুক্ত করেন।
পরে, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আত্মার মাগফেরাত, বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা এবং বাংলাদেশের শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করা হয়।
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তা ও -কর্মচারীবৃন্দ এবং বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সাহেদ আহম্মেদ সহ অন্যান্য নেতাকর্মীরা এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
স্বাক্ষরিত
০৭.১১.২০২৫
(মোঃ রাজিবুল ইসলাম)
উপ-পরিচালক
তথ্য, প্রকাশনা ও জনসংযোগ অফিস
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া