News & Event

21
Sep 25

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২৪-২০২৫ শিক্ষাবর্ষের নবীন শিক্ষার্থীদের দু’দিন ব্যাপী ওরিয়েন্টেশন

VIEW
21
Sep 25

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে নবীন শিক্ষার্থীদের ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠান সম্পন্ন

VIEW
18
Sep 25

মালয়েশিয়ার আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সেমিনারে ইবি ভাইস চ্যান্সেলরের বক্তব্য প্রদান

VIEW
13
Sep 25

প্রযুক্তিগত উন্নয়নে কৃষিখাতে খাদ্য সংকট এড়ানো সম্ভব হয়েছে/সেমিনারে বক্তারা

VIEW
10
Sep 25

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি স্বতন্ত্র গবেষণা কেন্দ্র স্থাপন করা হবে, যেখানে মহানবী (সা:) এর জীবন, আদর্শ ও কর্ম নিয়ে বিশেষভাবে গবেষণা করা হবে

VIEW
08
Sep 25

খুলনায় নর্থ ওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটির ফল–২০২৫ সেন্ট্রাল ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠিত

VIEW
07
Sep 25

+পরিবহন পুলে আরও ৪টি বিআরটিসি’র ডাবল ডেকার+

VIEW
03
Sep 25

লোকপ্রশাসন বিভাগে ইরাসমাস প্রকল্প

VIEW
02
Sep 25

আইসিটি বিভাগে EDGE-IUICT ডিজিটাল স্কিলস ফর স্টুডেন্টস প্রশিক্ষণের সমাপনী অনুষ্ঠিত

VIEW
30
Aug 25

ইবি সায়েন্স ক্লাবের বিদায় সংবর্ধনা

VIEW

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি স্বতন্ত্র গবেষণা কেন্দ্র স্থাপন করা হবে, যেখানে মহানবী (সা:) এর জীবন, আদর্শ ও কর্ম নিয়ে বিশেষভাবে গবেষণা করা হবে

 

ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেছেন, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি স্বতন্ত্র গবেষণা কেন্দ্র স্থাপন করা হবে, যেখানে মহানবী (সা:) এর জীবন, আদর্শ ও কর্ম নিয়ে বিশেষভাবে গবেষণা করা হবে। সেই গবেষণার ফলাফলকে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দেয়া হবে, যাতে মহানবীর শিক্ষা ও নীতিমালা আরও বিস্তৃতভাবে পৌঁছে যায়।
 
আজ (সেপ্টেম্বর ১০) সিরাতুন নবি (সা:) উদযাপন উপলক্ষ্যে ইবিতে বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সুন্নাতে রাসুল্লাহ (সা:) শীর্ষক আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।
তিনি উল্লেখ করেন, বর্তমান বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ আমাদেরকে বিচলিত করছে। তবে এ সমস্যা মোকাবেলার জন্য আমরা প্রায়শই দূরের কিছু খুঁজে বের করার চেষ্টা করি, যা কার্যকর নয়।
তিনি জোর দেন পৃথিবীর আনাচ-কানাচ খুঁজে বেড়াানোর প্রয়োাজন নেই। তিনি প্রশ্ন করেন, আমরা কি জর্জ বার্ণাড শ'র সেই কথাটি ভুলে গেছি?
ভাইস চ্যান্সেলর দৃঢ়তার সাথে বলেন, “আমাদের মহানবীর আদর্শ অনুসরণ করলেই সমস্যার সমাধান সম্ভব।
তিনি অনুষ্ঠানে উপস্থিত সবাইকে ধন্যবাদ জানান, বিশেষ করে যারা অনুষ্ঠানটি সুন্দরভাবে সম্পন্ন করার জন্য সহযোগিতা করেছেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রো-ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এম. এয়াকুব আলী, ট্রেজারার প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম।
অনুষ্ঠানে সিরাত বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান শায়খ আহমাদুল্লাহ।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সিরাতুন নবি (সা:) উদযাপন কমিটির আহবায়ক ও ধর্মতত্ব ও ইসলামী শিক্ষা অনুষদের ডিন প্রফেসর ড, আ.ব.ম. ছিদ্দিকুর রহমান আশ্রাফী।
সিরাত বক্তৃতায় শায়খ আহমাদুল্লাহ মহানবী (সাঃ)-এর জীবন, আদর্শ এবং শোষণমুক্ত সমাজ গঠনের শিক্ষার ওপর বিশেষ জোর দেন। তিনি বলেন, “এটি মহানবী (সাঃ) অনেক আগেই ঘোষণা করেছেন এবং বাস্তবায়ন করে গেছেন।”
 
তিনি আরও বলেন, শোষণমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে নবী করিম (সাঃ)-এর কাজের তুলনা ইতিহাসে বিরল। আমরা তাঁর বহু নীতিকথা শুনি, উদাহরণ দেখি। কিন্তু এর চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো তিনি নিজেই সেই নীতিগুলো জীবনে অনুসরণ করেছেন এবং প্রমাণ করেছেন। তিনি শুধু কথায় সীমাবদ্ধ ছিলেন না, বরং কাজের মাধ্যমে তাদের বাস্তবায়ন করেছেন। উদাহরণস্বরূপ, যে জামা তিনি নিজের জন্য কিনতেন, সেটিই তিনি তাঁর চালকের জন্যও কিনতেন; নিজের সন্তানের জন্য পোশাক কিনলে, তাঁর কর্মচারীর সন্তানের জন্যও একই পোশাক নিশ্চিত করতেন। তিনি সমাজে বৈষম্য দূর করতে ছোট থেকে বড় সব ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন।
শ্রমিকদের অধিকার বিষয়ে তাঁর ঘোষণাটি যুগান্তকারী ছিল “শ্রমিকের ঘাম শুকানোর আগেই তার মজুরি প্রদান করো।” এই নির্দেশে নিহিত আছে শোষণমুক্ত সমাজ গঠনের মূল পথনির্দেশ।
তিনি বলেন, আমরা ফিলিস্তিনের দিকে তাকাই। সেখানে যে রকম গণহত্যা চালানো হচ্ছে, শিশুদের হত্যা করা হচ্ছে, এবং সেই সব দেশ যারা মানবাধিকার শিক্ষা দেয়, তারাই এই বর্বরতা সমর্থন করছে এটি গভীর চিন্তার বিষয়।
কিন্তু কি এমন একটি যুদ্ধ ইতিহাসে ঘটেছে, যা মহানবীর আমলে ঘটেছে, যেখানে একটি শিশুও নিহত হয়েছে? কেউ কি তা দেখাতে পারবেন? প্রশ্ন করা হয়েছে “শিশুদের সাথে যুদ্ধের কী সম্পর্ক?” এই প্রশ্নের মধ্যেই মানবতার মূল সংকেত নিহিত।
বর্তমান সমাজে প্রচলিত পুঁজিবাদ ও বৈষম্য যে ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করেছে, তা আমাদের সামনে স্পষ্ট। কিন্তু যদি আমরা মহানবীর আদর্শ ছড়িয়ে দিতে পারি এবং মানুষকে সেই আদর্শে প্রতিষ্ঠিত করতে পারি, তাহলে সমাজ থেকে সব ধরনের জবরদস্তি, অত্যাচার ও হানাহানি দূর হয়ে যাবে।
তিনি বলেন, মহানবীর শিক্ষা অনুসরণ করলে শান্তি, ন্যায় এবং মানবিক মূল্যবোধ সমাজে প্রতিষ্ঠিত হবে এটাই আমাদের প্রচেষ্টা হওয়াা উচিত।
শায়খ আহমাদুল্লাহ বলেন, মহানবী আমাদের সামনে যে জীবনদর্শন, আদর্শ ও নীতি রেখে গেছেন, সেগুলো আজকের অস্থির ও ঝঞ্ঝাবিক্ষুব্ধ বিশ্বে সব সমস্যার সমাধানের জন্য সবচেয়ে বাস্তব ও প্রাসঙ্গিক। তিনি ছিলেন সহিষ্ণুতার নিদর্শন। তিনি শিক্ষা দিয়েছেন কিভাবে ভিন্নমত ও ভিন্ন আদর্শের মানুষকে সহ্য করতে হয় এবং তাদের সঙ্গে মিলেমিশে সমাজ গঠন করতে হয়।
এ উদ্দেশ্যে তিনি যে মদিনা সনদ প্রণয়ন করেছিলেন, সেটি আজও পৃথিবীর ইতিহাসে একটি রোল মডেল—যেখানে ভিন্ন ধর্মের মানুষ একত্রে নিয়ে ন্যায়ভিত্তিক রাষ্ট্র গড়ে তোলা হয়েছিল।
তবে দুঃখজনকভাবে, ইতিহাস জুড়ে মহানবীর চরিত্র ও আদর্শকে নানাভাবে কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা হয়েছে এবং এখনও আমাদের দেশে তার বহিঃপ্রকাশ দেখা যায়। আমরা বলি, আজকের পৃথিবী সভ্য, মানবিক, মানবাধিকারের এবং নারীর অধিকারের পৃথিবী কিন্তু বাস্তবে এসবের অনেকটাই ফ্যাশনের অংশে পরিণত হয়েছে। মহানবী (সাঃ) সেই সময়ই নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, যখন কন্যা সন্তান জন্ম নিলে তাকে জীবন্ত কবর দেওয়ার প্রথা চালু ছিল।
শায়খ আহমাদুল্লাহ বলেন, “এই মুহূর্তে মুসলমানদের মহানবীর রেখে যাওয়া আদর্শের গুণাবলী অর্জন করতে হবে। তা করতে পারলে মুসলমানরা অনেক বড় অর্জন করতে পারত। কিন্তু আমরা এখনো সেটি করতে পারছি না,” এটি তাঁর গভীর আক্ষেপের প্রকাশ।
 
প্রো-ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এম. এয়াকুব আলী বলেন, “মহানবী (সা:) এর জীবনভিত্তিক আলোচনাকে আরও ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে দেওয়া প্রয়োজন। আমাদের লক্ষ্য হতে হবে মানুষকে মহানবীর দর্শনের আলোকে গড়ে তোলা। কারন, তাঁর জীবন ও শিক্ষা আজও আমাদের জন্য আলোকবর্তিকা, যা অনুসরণ করলে আমরা সমাজে সমতা, শান্তি ও মানবাধিকারের বাস্তবায়ন করতে সক্ষম হব।”
ট্রেজারার প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, “মুহাম্মদ (সা:) ছিলেন সারা বিশ্বের মানবজাতির মুক্তির পথপ্রদর্শক। তিনি কেবল ধর্মীয় নেতাই ছিলেন না, বরং মানবিক মূল্যবোধ, ন্যায়বিচার ও সহমর্মিতার চেতনাকে সমাজে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।
 
অনুষ্ঠান উপস্থাপন করেন প্রফেসর ড. রফিকুল ইসলাম ও প্রফেসর ড. মোস্তাফিজুর রহমান।
 
বার্তা প্রেরক
তারেক মাহমুদ হোসেন
উপ-রেজিস্ট্রার
তথ্য, প্রকাশনা ও জনসংযোগ অফিস
Edited by : Dr. Amanur Aman/*