প্রযুক্তিগত উন্নয়নে কৃষিখাতে খাদ্য সংকট এড়ানো সম্ভব হয়েছে/সেমিনারে বক্তারা
কৃষিতে প্রযুক্তির যথাসময়ে উন্নয়ন ও এর কার্যকর প্রয়োগ না ঘটলে দেশে খাদ্য সরবরাহ ব্যবস্থা (সাপ্লাই চেইন) মারাত্মক বিপর্যয়ের মুখে পড়তে পারত। তবে কৃষিখাতের অব্যাহত প্রযুক্তিগত উন্নয়ন এবং আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার সেই সম্ভাব্য সংকটকে এড়াতে সক্ষম হয়েছে।
এমন মন্তব্য করা হয়েছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজিত “এগ্রিভেনচার: স্টুডেন্টস অ্যাগ্রো-লিডারশিপ বুটক্যাম্প”-এ।
শনিবার ( সেপ্টেম্বর ১৩) আইএএএস ((International Association of Students in Agricultural and Related Sciences), কৃষি ও সংশ্লিষ্ট বিষয়ে শিক্ষার্থীদের একটি আন্তর্জাতিক সংগঠন এ সেমিনারের আয়োজন করে।
সেমিনারে গেস্ট অব অনার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এম এয়াকুব আলী ও ট্রেজারার প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বায়োটেকনোলজি ও জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আবুহেনা মোস্তফা জামাল।
সেমিনারের কি-নোট স্পিকার ছিলেন ফার্মেসি বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মো: মিজানুর রহমান।
ট্রেজারার প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, বাংলাদেশের কৃষি খাতের অগ্রগতি আজ বিশ্বে প্রশংসিত। কৃষিতে যথাযথ প্রযুক্তির বিকাশ না ঘটলে আমাদের দেশে খাদ্য সংকট, আবাদযোগ্য জমির সংকট এবং মানুষের বসবাসযোগ্য জায়গা নিয়ে জটিলতা দেখা দিতে পারত। প্রযুক্তির কল্যাণে আজ বাংলাদেশ সেই শঙ্কা কাটিয়ে উঠেছে।
তিনি বলেন, “আমাদের কৃষি ইতোমধ্যে উল্লেখযোগ্য উন্নতি লাভ করেছে। এই অগ্রগতিকে আরও বেশি বিস্তৃত করতে হবে, দেশের প্রতিটি প্রান্তে ছড়িয়ে দিতে হবে। যাতে করে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতার পাশাপাশি টেকসই কৃষি ব্যবস্থা গড়ে তোলা যায়।”
উদাহরণ তুলে ধরে তিনি বলেন, “আমরা আয়তনে ছোট একটি দেশে প্রায় ২০ কোটি মানুষ বাস করি। অথচ বৃহত্তর মহাদেশ অস্ট্রেলিয়ার পুরো জনসংখ্যা আমাদের সমানও নয়। জনসংখ্যার চাপ সত্ত্বেও আমাদের কৃষি খাতের সাফল্য বিশ্বে অনুকরণীয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।”
শিক্ষার্থীদের প্রযুক্তিমুখী করতে হবে: প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর/
তার বক্তৃতায় প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এয়াকুব আলী বলেন, “আমরা এখন চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের যুগে বাস করছি। তবে প্রশ্ন থেকে যায়—আমরা এই বিপ্লবের কতটুকু ভোগ বা ব্যবহার করতে পারছি? এমনও হতে পারে, যেদিন আমরা এর পূর্ণ সুবিধা নিতে সক্ষম হব, সেদিন বিশ্ব হয়তো আরও এগিয়ে যাবে এবং নতুন কোনো শিল্পবিপ্লবের সুফল ভোগ করবে।”
তিনি বলেন, “আমাদের দৈনন্দিন জীবনে প্রযুক্তি আরও গভীরভাবে যুক্ত করতে হবে। এজন্য শিক্ষার্থীদের অবশ্যই প্রযুক্তিমুখী করে তুলতে হবে। কারণ, উন্নতির পথে এগিয়ে যাওয়ার কোনো বিকল্প নেই।”
প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর আরও বলেন, “আমাদের শিক্ষার্থী প্রজন্মই দেশকে এগিয়ে নেওয়ার মূল চালিকাশক্তি। স্বাধীনতার এত বছর পরেও আমরা এখনো বলতে পারি না যে, আমরা কাঙ্ক্ষিত উন্নয়নে পৌঁছাতে পেরেছি। এসব জায়গায় আরও মনোযোগী হয়ে কাজ করতে হবে।
তারা আয়োজিত সেমিনারের উদ্যোগকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, “এ ধরনের সেমিনার কৃষি, প্রযুক্তি ও উন্নয়ন ভাবনার প্রসারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এর মাধ্যমে নতুন প্রজন্মও কৃষি নিয়ে গবেষণা ও উদ্ভাবনে উদ্বুদ্ধ হবে।
////////////
তারেক মাহমুদ হোসেন
উপ-রেজিস্ট্রার
তথ্য, প্রকাশনা ও জনংযোগ বিভাগ
Edited by : Amanur Aman/*